কাঠগোদাম থেকে ৬ কিমি আগে হলদোয়ানিতে নামার কারণ যানবাহনের আধিক্য। কুমায়ুন ভ্রমণকালে বেশিরভাগ বাস-কন্ডাক্টরের মুখে এক বিশেষ টানে 'হলদোয়ানি-হলদোয়ানি-হলদোয়ানি' হাঁক এখনও কানে বাজে। আসলে হলদোয়ানি বিশাল বাজার এলাকা। এখান থেকে সমগ্র কুমায়ুনের বিভিন্ন দিকে বাস যাওয়া-আসা করছে। সামনে বিশাল আকাশের ব্যাপ্তি, বুক ভরে নেওয়ার মতো টাটকা বাতাস।
আলমোড়া, বিনসর, যজ্ঞেশ্বর কুমায়ুন ট্যুর প্ল্যান
হলদোয়ানি থেকে রাণিখেতের পথে | Haldwani to Ranikhet
মাসটা নভেম্বর। শরীরে শীতের আমেজ। স্টেশনের নরম রোদে ভিজে সব ক্লান্তি ধুয়ে ঠিক করে ফেললাম রাণিখেত যাব। স্টেশন থেকে নেমে একটা রিকশায় বাসস্ট্যান্ড এলাম। দেখলাম, রানিখেত যাওয়ার জন্য একটা বাসে লোক জড়ো হচ্ছে। অনেকটা রাস্তা প্রায় ৮৭ কিমি পথ যেতে হবে---- বাসের মাথায় লাগেজ তুলে চেন দিয়ে বাঁধার পর উঠে বসলাম একটা জানালার দখল নিয়ে। পাহাড়ি পথে বাস জার্নিতে এই জানালাই সব---- সমগ্র পৃথিবী! বাস ছাড়তে একটা বাজল। রানিখেতের প্রশস্তি তার ঘন সন্নিবিষ্ট পাইন, ওক, দেওদারের আরণ্যক প্রকৃতির জন্য। এর সঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হিমালয়ের শৃঙ্গগুলির মিলিত কোলাজ। জিওলিকোট থেকে বাঁ-দিকের রাস্তা ধরে গেলে পৌঁছে যাওয়া যায় নৈনিতাল, দূরত্ব ১৫ কিমি। আর ডানদিকের রাস্তা এগিয়ে গেছে রানিখেতের দিকে। জিওলিকোটে স্ট্রবেরি খেতের দেখা মেলে আর প্রজাপতি-মৌমাছি চাষের জন্যও জিওলিকোটের খ্যাতি। এখান থেকে মাত্র ৩ কিমি দূরে ভাওয়ালি, কুমায়ুনের বিখ্যাত ফল উৎপাদন কেন্দ্র। বাস ছুটে চলে তার নিজস্ব ছন্দে। দু-পাশে উন্মুক্ত প্রকৃতি। রানিখেত প্রবেশের ৭ কিমি আগে ঝুলাদেবীর মন্দির। এখানে মা দুর্গার মর্মর মূর্তিকে ঘিরে ঝুলে রয়েছে অজস্র ঘন্টা। ঝুলাদেবীর মন্দির পার হতে হঠাৎই চোখের সামনে উদ্ভাসিত হল অস্তগামী সূর্যের লালিমায় রক্তিম হিমালয়ের স্বর্গীয় রূপ। যাত্রার শুরুতেই হিমালয়ের এমন অভাবনীয় অভিবাদন! মনের মধ্যে পরম প্রাপ্তির অস্থিরতা। পৌঁছে গেলাম রানিখেত বাসস্ট্যান্ড।
পরদিন কাকভোরে কাঁপতে কাঁপতে হাজির হলাম হোটেলের ছাদে। তখনও অন্ধকারে ঢেকে আছে চরাচর। পাখির কলকাকলিতে মুখরিত বসুন্ধরা আবরণ উন্মোচিত হওয়ার অপেক্ষা। বাঁ-দিক থেকে আগুন লাগতে শুরু করে, একের পর এক জেগে উঠছে তুষারাবৃত শিখররাজি---- ত্রিশূল, চৌখাম্বা, নীলকণ্ঠ, নন্দাঘুন্টি, নন্দাদেবী, নন্দাকোট, পঞ্চচুল্লি। নরম সোনালি রোদে শীতের প্রকোপ কিছুটা সামলে ফিরে এলাম নীচে। ধ্যানগম্ভীর হিমালয়ের শ্বেতশুভ্ ভাস্বর রূপ দু-চোখ ভরে পান করতে লাগলাম সারাদিন ধরে। রানিখেতের উচ্চতা ৬০০০ ফুট। চাঁদবংশীয় রানির পছন্দের জায়গা বলে নাম রানিখেত হলেও ব্রিটিশরা স্থানটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে। অতীতে রানিখেত ছিল ব্রিটিশ ফৌজি বাহিনীর গ্রীষ্মাবাস। বর্তমানে কুমায়ুন রেজিমেন্টের সদর দফতর বসেছে। ক্যান্টনমেন্ট শহর হওয়ায় সারাদিন ফৌজিদের আনাগোনা লেগেই আছে। হাতে সময় থাকলে রানিখেতের স্থানীয় দ্রষ্টব্যগুলি ঘুরে দেখা যেতে পারে। এখান থেকে চৌবাটিয়ার দূরত্ব ১০ কিমি। চৌবাটিয়ার অর্থ চার রাস্তার সংযোগস্থল। এটা আপেল উৎপাদন এবং গবেষণা কেন্দ্র। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে গাছগুলি আপেলে ভরে যায় আর আপেলের সুমিষ্ট গন্ধে বাতাস মাতাল হয়ে ওঠে। চৌবাটিয়া থেকে রানিখেতের নিসর্গ খুব সুন্দর দৃশ্য। চৌবাটিয়া যাওয়ার পথেই পড়বে ঝুলাদেবীর মন্দির। চৌবাটিয়া থেকে ৩ কিমি দূরে কৃত্রিম হ্রদ ভ্যালু ড্যাম। রানিখেত শহরে জল সরবরাহ হয় এই ড্যাম থেকে। রানিখেত থেকে আলমোড়ার দিকে ৭ কিমি দূরে উপতা। এখানে সবুজের ভেলভেটে মোড়া পাইনের ঘেরাটোপে নাইন হোল গল্ফ কোর্সটি ভারতের অন্যতম সেরা। এখানকার মনোকামনেশ্বরী মন্দিরটিও দর্শনীয়। উপতা থেকে ১ কিমি দূরে পাহাড়ের উপর দেবী কালিকার মন্দির ও ফরেস্ট নার্সারি। রানিখেত থেকে মাত্র ৭ কিমি দূরে চিলিয়ানৌলাতে বাবা হেরামানের মন্দিরটি অবস্থিত। রানিখেত থেকে ১৯ কিমি দূরে বিনসর মহাদেবের তীর্থভূমি। তবে এ বিনসর সে বিনসর নয়, যেখানে যেতে হয় আলমোড়া থেকে, ওটি একটি শৈলাবাস। রানিখেত থেকে করবেট ন্যাশনাল পার্কও বেড়িয়ে নেওয়া যায়, দূরত্ব ১০৩ কিমি।
হিমালয়ান হ্যামলেট শীতলাখেত | Shitalakhet, Himalayan Hamlet
তবে এত ঘোরাঘুুরির মধ্যে না গিয়ে যারা শুয়ে-বসে হিমালয়ের রূপ দর্শন করে দুটো দিন কাটিয়ে দিতে চান তাদের পক্ষে আদর্শ স্থান শীতলাখেত। রানিখেত থেকে হিমালয়ের যে রেঞ্জ দৃশ্যমান শীতলাখেত থেকে একই রেঞ্জ আরও কাছ থেকে দেখা যায়। রানিখেত থেকে শীতলাখেতের দূরত্ব মাত্র ৩৪ কিমি। রানিখেত থেকে ২৪ কিমি দূরে কাঠপুরিয়া, কাঠপুরিয়া থেকে শেয়ার জিপে শীতলাখেতের দূরত্ব ১০ কিমি। শীতলাখেতগামী এই ১০ কিমি রাস্তার ধারে শুধু সার সার পাইনবীথি। না, জঙ্গল বললে ভুল হবে, মনে হয় কে যেন সযত্নে রোপন করেছে এই বনভূমি। আঁকাবাঁকা সরু সর্পিল গ্রাম্য পাহাড়ি পথ। চলেছি হিমালয়ের় নিভৃতে। কখনও একধারে পাইনের ঘন সন্নিবেশ তো অপর পারে ধূ ধূ পাহাড়ের চিত্রপট। মাত্র কয়েক-ঘর বসতি নিয়ে শীতলখেত একটি গ্রাম, একে হিমালয়ান হ্যামলেট (#himalayan-hamlet) বলা চলে। বাস/জিপ সোজা এনে পৌঁছে দেয় কুমায়ুন মন্ডল বিকাশ নিগমের(KMVN) ট্যুরিস্ট লজের দোরগোড়ায়। বেসরকারি হোটেলও আছে। এখানে স্থানীয় দ্রষ্টব্য বলে কিছু নেই---- দ্রষ্টব্য, শ্রুতব্য, উপভোগ্য যাই-ই বলুন না কেন শুধুই প্রকৃতি। এর আভিজাত্য এখানকার নির্জনতায়। বড়ো জোর এখান থেকে ৩ কিমি হাঁটাপথে ঘুরে আসতে পারেন সিয়াহী দেবীর মন্দির থেকে। ঘরে বসেই দেখা যায় হিমালয়ান-ভিউ (Himalayan-View) আর দিনের আলো নিভে যেতে পাহাড়ের ঢালে জ্বলে ওঠে আলমোড়ার আলো, আকাশে পুঞ্জীভূত নক্ষত্র। একভাবে তাকিয়ে থাকলে চোখে পড়তে পারে সাঁ-ই করে নক্ষত্রের ছুটে চলা বা তার পতন, যাকে আমরা তারাখসা বলি।
কোশী নদীকে সঙ্গী করে কৌশানির পথে | Way to Kausani
পরদিন আবার কাঠপুরিয়া পৌঁছোই। এখান থেকে ১২ কিমি গিয়ে কোশী, কোশী নদীর নামানুসারে স্থানটির নাম। আরও ২৭ কিমি যেতে প্রাচীন শৈবতীর্থ সোমেশ্বর। এখান থেকে কৌশানি পর্যন্ত ১২ কিমি পথে কোশী নদী আমাদের সঙ্গী। দূরে পাহাড়, মাঝে নদী, চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছোট ছোট জনপদ আর পাহাড়ের ধাপে ধাপে ঝুম চাষ। বাসটা দুপুর দুপুর কৌশানি নামিয়ে দিতে দোকানপাট, হোটেল, বিশাল বিশাল মহীরুহে ছাওয়া আধ কিমি চড়াই ভেঙে পৌঁছে যাই অনাশক্তি যোগ আশ্রমে ওঠার সিঁড়ির মুখে। ১৯২৯ সালে মহাত্মা গান্ধী টানা বারোদিন এখানে থেকে গীতার অনাশক্তি যোগের ভাষ্য রচনা করেছিলেন। আশ্রম প্রাঙ্গণে পৌঁছতে একজন যুবকের সঙ্গে দেখা, 'do u know bengali?' জিজ্ঞাসা করতেই আমরা বাংলায় উত্তর দিলাম। আসলে দেখেই বুঝেছিলাম উনিও বাঙালি। বারবার ফিরে আসেন এখানে। কৌশানি তার বড়োই প্রিয়। দুপুর গড়িয়ে গেছে তাই শুধু ডাল-ভাত খেতে পেলাম। তবে ভাত, ডাল দুটো থেকেই ধোঁয়া উঠছে। সঙ্গে মাখন তো সবসময়ের সঙ্গী। সুতরাং মাখন, নুন, আর কাঁচালঙ্কা সহযোগে গরম ডাল-ভাতই খিদের সময় অমৃত। আশ্রমে নিরামিষ আহার। এটিই কৌশানির সেরা ভিউ-পয়েন্ট। আজ আবহাওয়া ততটা ভালো নেই। মেঘের ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে গিরি শিখররাজি। কৌশানির উচ্চতা ৬,২০০ ফুট। আশ্রম চত্বরে এনগ্রেভ করে চিনিয়ে দেওয়া আছে কোনটা কোন শৃঙ্গ---- ত্রিশূল, চৌখাম্বা, নীলকণ্ঠ, নন্দাঘুন্টি, মৃগথুনি, দেবীস্থান, নন্দাদেবী, নন্দাকোট, পঞ্চচুল্লি। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের আলোর প্রতিফলনে তুষারাচ্ছাদিত শিখররাজিতে আলোর খেলা দেখার জন্য প্রশস্ত আশ্রম প্রাঙ্গণে ভিড় জমে যায়। প্রার্থনার সময় সবাইকে প্রার্থনাগৃহে উপস্থিত থেকে প্রার্থনায় যোগদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, তাই সন্ধ্যা নামতেই হাজির হলাম প্রার্থনা গৃহে। প্রার্থনা গৃহে সাজানো আছে গান্ধীজির দুটি বড়ো তৈলচিত্রসহ তাঁর স্মৃতিবিজড়িত আরও কিছু ছবি। প্রার্থনা শেষে আলাপ হল যুবকটির স্ত্রীর সঙ্গে-- খুবই আলাপি আর ছেলেমানুষ। কথা না বলে এক মুহূর্ত থাকতে পারে না। তেমনই হাসিখুশি স্বভাব। ঠান্ডা হাওয়ার দাপটে ঘরে ঢুকতে বাধ্য হলাম। আবার জমায়েত হলাম রাতের খাওয়ার টেবিলে। মন্ত্র পাঠের পর ভোজন সাঙ্গ করে সোজা লেপের তলায়। এখানকার ঘরগুলো বেশ air-tight তাই গরম থাকে ভালো। ভোররাতে বাথরুমে যেতে শুনি টিনের চালে চটড়পটড় আওয়াজ-- 'এই রে! বৃষ্টি হচ্ছে না তো!' গতকাল বিকেলের আকাশ এমনই ইঙ্গিত করছিল।উত্তেজনায় গরম জামা গায়ে না দিয়েই ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে দেখি আশ্রম প্রাঙ্গণ জলে ভিজে চকচক করছে। ঝিরঝিরে বৃষ্টি ঘনকালো মেঘের আড়ালে হিমালয়ের উপস্থিতি লোপ পেয়েছে। তীব্র শীতের কামড়ে সম্বিৎ ফিরে পাই। এই মেঘ সহজে কাটবে না। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আজ আমাদের বাগেশ্বর হয়ে চৌকরি পৌঁছতে হবে। এখনই বেরিয়ে পড়তে হবে, না হলেই আটকে পড়ব।
বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর একটা জিপ ভর্তি হতে শুরু করল, যাচ্ছে গরুড়। কৌশানি থেকে দূরত্ব ১৮ কিমি। এই গরুড় উপত্যকাতেই ভারতের একমাত্র পার্বতী মন্দির বৈজনাথ। এখান থেকে বাগেশ্বর ২১ কিমি। বাসে ওঠার আধ-ঘন্টা পর বাসটি ছাড়ল। বৃষ্টি হয়েই যাচ্ছে।গোমতীকে সঙ্গে নিয়ে বাস ছুটে চলল। বাসের জানালার ধারে বসে বৃষ্টিবিধৌত পাহাড়ি প্রকৃতির মোহিনী রূপ দেখে মনে হচ্ছে---- ভাগ্যিস বৃষ্টি হল!
শৈবতীর্থ বাগেশ্বর | Towards Bageshwar
ব্যস্ত বাণিজ্যিক শহর এই বাগেশ্বর। গোমতী আর সরযূ নদীর সংগমে অবস্থিত বাগেশ্বর এক পুণ্য শৈবতীর্থ। পিণ্ডারি, কাফনি, সুন্দরডুঙ্গা গ্লেসিয়ার দর্শনের জন্য ট্রেকপথ বাগেশ্বর থেকেই শুরু। পৌরাণিক গুরুত্বও যথেষ্ট বাগেশ্বরের।প্রাচীনকালে মার্কণ্ডেয় ঋষির তপস্যাস্থল ছিল এটি। এখানেই তিনি বাগনাথ মহাদেবের দর্শন লাভ করেন, সেই থেকে স্থানটির নাম হয় বাগেশ্বর। আবার, শোনা যায়, এখানে নাকি বাঘের খুব উপদ্রব ছিল তাই বাগেশ্বর নাম হয়। এখানে বাগনাথ শিবের অতি প্রাচীন মন্দির ছাড়াও ভৈরব মন্দির, দত্তাত্রেয়, দুর্গামাতা, কালীকা, লোকনাথবাবা সহ অনেক প্রাচীন এবং নবীন মন্দির রয়েছে। মনোরম নদীতটে মন্দির চত্বরের প্রাকৃতিক পরিবেশ অসাধারণ।
![]() |
শৈবতীর্থ বাগেশ্বর |
কিভাবে যাবেন | How to visit Ranikhet , Kausani, Bageshwar
হাওড়া-লালকুঁয়া সুপার ফার্স্ট এক্সপ্রেসে (সাপ্তাহিক) লালকুঁয়া স্টেশন অথবা হাওড়া-কাঠগোদাম বাগ-এক্সপ্রেসে কাঠগোদাম বা হলদোয়ানি স্টেশন। কাঠগোদামের ৫ কিমি আগে হলদোয়ানি, এখান থেকে বাস/শেয়ার জিপ পেতে বেশি সুবিধা হয়।
অন্যপথে যে কোন ট্রেনে লক্ষ্ণৌ পৌঁছে, লক্ষ্ণৌ থেকে ২ কিমি দূরে আইসবাগ স্টেশন।
আইসবাগ থেকে মিটারগেজ শাখায় আইসবাগ-লালকুঁয়া-নৈনিতাল এক্সপ্রেসে পরদিন সকালে লালকুঁয়া। লালকুঁয়া থেকে কাঠগোদামের দূরত্ব ২২ কিমি, হলদোয়ানির দূরত্ব ২৭ কিমি। লালকুঁয়া/কাঠগোদাম/হলদোয়ানি থেকে বাস, শেয়ার জিপ, ভাড়া গাড়িতে রানিখেত, শীতলাখেত, কৌশানি, বাগেশ্বর।
কখন যাবেন | Best time to visit Ranikhet , Kausani, Bageshwar
সারা বছর যাওয়া যায় তবে বর্ষাকালে না গেলেই ভালো।
কোথায় থাকবেন | Hotels Ranikhet , Kausani, Bageshwar
রানিখেত, শীতলাখেত, কৌশানি, বাগেশ্বরে কুমায়ুন মন্ডল বিকাশ নিগম (KMVN) এর লজ আছে এছাড়া বেসরকারি হোটেল আছে। কৌশানিতে থাকার সেরা জায়গা অনাশক্তি যোগ আশ্রম (গান্ধী আশ্রম), গান্ধী আশ্রমের খাবার নিরামিষ।
প্রয়োজনীয় দূরত্ব | Distance Between
- হলদোয়ানি থেকে রানিখেত ৮৭ কিমি | Haldwani to Ranikhet 87 k.m.
- রানিখেত থেকে শীতলাখেত ৩৪ কিমি | Ranikhet to Sitlakhet 34 k.m.
- রানিখেত থেকে কৌশানি ৫৪ কিমি | Ranikhet to Kausani 54 k.m.
- শীতলাখেত থেকে কৌশানি ৬১ কিমি | Sitlakhet to Kausani 61 k.m.
- কৌশানি থেকে বাগেশ্বর ৩৯ কিমি | Kausani to Bageshwar 39 k.m.